Thursday 15 August 2013

এক নজরে নিবেদিত মানব উন্নয়ন সংস্থা

নিবেদিত মানব উন্নয়ন সংস্থা একটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক দান নির্ভর সংস্থা।সমাজের ভারসাম্যতা রক্ষায় ধনী-গরিবের অর্থনৈতিক সাম্যতা নির্ধারণে ইসলামি বিধি-বিধান মোতাবেক পরিচালিত একটি বেসরকারি সংস্থা হিসেবে ইতোমধ্যে এটি পরিচিত হয়েছে।

আমরা সবাই প্রতিনিয়তই বিক্ষিপ্তভাবে,ব্যক্তিগত পর্যায়ে ক্ষুদ্র হোক অথবা বৃহৎ হোক দান করে যাচ্ছি।কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি যে আমাদের এই দান সামাজিক/পার্থিব কোনো উপকারে আসছে কিনা?

আপনার এই বিক্ষিপ্ত,ক্ষুদ্র বা বৃহৎ দানকে পঞ্জিভুত তথা ফান্ড আকারে গঠন করে তার সঠিক ব্যাবহারের জন্য নিবেদিত মানব উন্নয়ন সংস্থা গঠিত হয়েছে।এই সংস্থার মাধ্যমে আপনার ক্ষুদ্র দানটা সমাজের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন করবে বলে আশা করি।

ইতোমধ্যে আমরা এটা নিয়ে সমাজের বিজ্ঞ এবং প্রাজ্ঞজনদের সাথে মতবিনিময় করেছি।আমলা,সমাজপতি,রাজনিতিবিদ,মিডিয়া ব্যক্তিত্ব,এনজিও ব্যক্তিত্ব,ব্যবসায়ী,শিক্ষক,ছাত্র সবধরনের মানুষের সাথে কথা বলেছি এবং এখনও তা অব্যাহত আছে।



Wednesday 14 August 2013

নিবেদিত যা ভাবছে



বর্তমান পরিকল্পনা

অসচ্ছল অসুস্থ ব্যক্তির আর্থিক সহযোগীতা প্রদান

নির্বাচিত অঞ্চল সমূহে ুমেডিক্যালক্যাম্প করা

বিভিন্ন সময়ে দূর্গত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা

বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথা  এবং নারী নির্যাতন রোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা

বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুস্থ ও অসচ্ছলদের আর্থিক সাহায্যকরণ

ইসলামী চেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাহফিল পরিচালনা করা

পথ শিশু ও ইয়াতিমদের প্রাথমিক শিক্ষাদান করা

নাইট স্কুলের মাধ্যমে কর্মজীবি শিশুদের স্বাক্ষরতা নিশ্চিত করা

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে বেকারত্ব সমস্যার সমাধান।

সৎ, দক্ষ, যোগ্য কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ব্যক্তিকে তার পছন্দ অনুযায়ী কর্মে সহায়তা প্রদান।

ভিক্ষুকদের কর্ম পুনর্বাসনের মাধ্যমে আত্ন নির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলা।

বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

স্যানিটেশন সমস্যার সমাধান।

নও মুসলিমদের সার্বিক সাহায্যকরণ।

গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যা সমাধানের জন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান।
 

সদস্য হতে চাইলে যা করণীয়

 
যারা স্বেচ্ছায় দান করতে ইচ্ছুক এমন লোক অর্থাৎ সকল দাতা এই সংস্থার সদস্য হতে পারবেন। সংস্থার নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতঃ সদস্য হবেন যা একদম বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে। নিজ যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা এবং কার্যকরী ফলাফলের বিবেচনায় কমিটির সদস্য হওয়া যাবে।
কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে কমিটির সদস্য পদ বহাল থাকবে। সংগঠন কিছু সংখ্যক সদস্য কে আজীবন সদস্য পদ দিবে। কমিটির সদস্য হলে সংস্থার উন্নয়ন চার্জ হিসেবে মাসিক নির্ধারিত চাঁদা থাকবে যা সংস্থার আলাদা ফান্ডে জমা হবে।
চ্যারিটি ব্যাংক এর জন্য ব্যাংক প্রতি ১৫ টাকা দিতে হবে। চ্যারিটি ব্যাংকের মাধ্যমে নিত্যদিনের দান সংগ্রহ করা হবে।

অর্থ-সমাচার

 
ফান্ডের উৎস
    প্রাত্যহিক দান-খয়রাত
    যাকাত 
    সদকা
    ফিতরা
    মানতের টাকা
    এককালীন দান
    মুষ্টি চাল
    পুরাতন কাপড়
    কুরবানির চামড়া বা তার টাকা
 
অর্থব্যয় ক্ষেত্র
সুরা তাওবার ৬০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা যাকাত দেয়ার ক্ষেত্র গুলো বর্ণনা করেছেন। মূলত এই ক্ষেত্র সমূহই দান ব্যয় করার সর্বোত্তম ক্ষেত্র। তাই আল্লাহ প্রদর্শিত এই ক্ষেত্র সমূহে ব্যয় করায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
এছাড়া জনকল্যাণার্থে ও ইয়াতিম-অসহায়দের সাহায্য করার জন্য এবং যারা সাহায্য চাইতে পারেনা অথচ সাহায্য প্রয়োজন তাদের কে সহযোগিতা করা হবে।
সংস্থার কার্যক্রম গুলোও ইসলাম কর্তৃক প্রদর্শিত দান ক্ষেত্র। সুতরাং সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ও দানের অর্থ খরচ হবে।

যে উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালিত



নিবেদিত মানব উন্নয়ন সংস্থা অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, শিক্ষাগত কল্যাণার্থে তার কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে গঠিত।

 
সামাজিক উদ্দেশ্যঃ

    ভিক্ষুকদের কর্ম পুনর্বাসনের মাধ্যমে আত্ন নির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলা।

    নির্বাচিত অঞ্চল সমূহে মেডিক্যালক্যাম্প করা।

    বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

    বিভিন্ন সময়ে দূর্গত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা।

    বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথা  এবং নারী নির্যাতন রোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

    স্যানিটেশন সমস্যার সমাধান।

 

ধর্মীয় উদ্দেশ্যঃ

    নও মুসলিমদের সার্বিক সাহায্যকরণ।

    বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুস্থ ও অস্বচ্ছলদের আর্থিক সাহায্যকরণ।

    ইসলামী চেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইসলামী সাংস্ড়্গৃতিক অনুষ্ঠান ও মাহফিল পরিচালনা করা। 

 
অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যঃ

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে বেকারত্ব সমস্যার সমাধান।

    সৎ, দক্ষ, যোগ্য কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ব্যক্তিকে তার পছন্দ অনুযায়ী কর্মে সহায়তা প্রদান।

    অসচ্ছল অসুস্থ ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতা প্রদান।

 

শিক্ষাগত উদ্দেশ্যঃ

    পথ শিশু ও ইয়াতিমদের প্রাথমিক শিক্ষাদান।

    গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যা সমাধানের জন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান।

    নাইট স্কুল মাধ্যমে কর্মজীবি শিশুদের স্বাক্ষরতা নিশ্চিত করা।

অটুট লক্ষ্যে আমাদের আদর্শ



বিদেশী সাহায্য বা দাতা গোষ্ঠীর সৌজন্যে নয়, স্বঅর্থায়নেও বাংলাদেশে পরিচালিত হতে পারে সফল সেবা প্রকল্প। এটা এই সংস্থার আদর্শ। কারণ সংস্থা বিশ্বাস করে যেহেতু জাতিগত ভাবে আমরা দাতার জাতি সেহেতু বাহিরের সাহায্য না নিয়েও আমাদের প্রাত্যহিক বা আবশ্যিক দানের মাধ্যমেই ব্যক্তিগতভাবে পুরো সমাজের অর্থনৈতিক অবস্থা সুদৃঢ় করতে পারি। তাই নিবেদিত মানব উন্নয়ন সংস্থার সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয় এর সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের আর্থিক অনুদানে।


 
ব্যক্তিগত বৈষয়িক, নৈতিক ও আত্নিক সচ্ছলতার মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই আমাদের লক্ষ্য।

যা বলতে চাই



নিবেদিত মানব উন্নয়ন সংস্থা-বাংলাদেশের একটি আর্থ-সামাজিক জনকল্যাণ মূলক সংস্থা। গরীব, দুস্থ, অসহায় ব্যক্তির অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাহায্যার্থে দানের অর্থ নির্ভর সংস্থা। দান ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ার মাধ্যমে আমাদের সামগ্রিক অর্থনৈতিক চাকা সচল করার সাথে সাথে ব্যক্তিগত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই এই সংস্থার একান্ত কাম্য।

ভেবে দেখেছেন কি? দান কি প্রয়োজন? দানে কী প্রয়োজন?

আমরা সবাই প্রতিনিয়তই বিক্ষিপ্ত ভাবে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে ক্ষুদ্র হোক অথবা বৃহৎ হোক দান করে যাচ্ছি। কিন্তু এক বারও কি ভেবে দেখেছি যে আমাদের এই দান সামাজিক/ পার্থিব কোন উপকারে আসছে কিনা?


অনেকেই দান করার সময় বলেন যে,আমার দান করার দরকার,তাই দান করছি। গ্রহীতা কোথায় এই দান খরচ করে তা জানার প্রয়োজন কি অথবা জানবোই বা কিভাবে? অথচ ইসলাম ও যুক্তি বলে ভিন্ন কথা। আপনি যাকে দান করছেন তার ব্যাপারে সম্পূর্ণ জেনে দান করতে বলা হয়েছে। গ্রহীতা যদি এই টাকা নিয়ে অসৎ কোন কাজে খরচ করে তবে আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম আপনাকেই দায়ী করবেন। সূরা মায়েদার ২ নং আয়াতে আছে-তোমরা অসৎ ও সীমালংঘনের কাজে একে অপরকে সহযোগীতা করো না।


আপনি যখন দান করবেন তখন তা যেন সমাজের উপকারে আসে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আপনার দান যদি সমাজের কোন উপকারেই না আসে তবে কেন শুধু শুধু এই টাকা খরচ করবেন? নিজের সামাজিক 
মর্যাদা বাড়ানোর জন্য? তা সম্পূর্ণ হারাম। অনেকে আবার মনে করেন দানের ফলটা আখিরাতে পাবেন। তাদেরকে জানাচ্ছি - যে কাজের সামান্য ফলাফল পৃথিবীতে নেই তার ফল আপনি আখিরাতে আশা করেন কিভাবে? হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-পৃথিবী আখিরাতের শস্যক্ষেত্র। কুরআনের আয়াতে (সূরা বাক্বারা- ২০১) আছে - হে আমাদের প্রভু আমাদেরকে পৃথিবীতে এবং আখিরাতে কল্যাণ দাও। একটু খেয়াল করুন এই জায়গায় পৃথিবীর কথাই আগে বলা হয়েছে। তাই আপনার দানের যদি পার্থিব কোন গুনফল না থাকে তবে তার প্রয়োজনই বা কি?

অনেকেই মনে করেন- আগে ধনী হয়ে নেই তারপর দান করব। অথচ আমরা সবাই জানি যে,কোন স্থানে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে হলে তার সব বায়ু শূণ্য হয়ে যায়। সুতরাং আপনার অনেক অর্থ সম্পদ হওয়ার সাধারণ উপায় হচ্ছে খরচ করা বা দান করা।

আবার অনেকে মনে করেন-আমার সম্পদ, আমার উপার্জনের আমিই মালিক। জমিয়ে রাখা বা খরচ করা আমার ইচ্ছাধীন। অথচ কুরআন শরীফের সূরা আদ্দাহরিয়াত এর ১৯ নং আয়াতে আছে- তাদের (ধনী ব্যক্তিদের) সম্পদে অস্বচ্ছল ও অসহায়দের অধিকার রয়েছে। এছাড়াও কুরআনের বিভিন্ন স্থানে দান করার কথা বলা হয়েছে (সূরা বাকারা আয়াত নং ০৪ এ মুত্তাকী হওয়ার শর্তাবলী হিসেবে দানের কথা বলা হয়েছে)। 

অতএব একটু খেয়াল করে দেখুন কুরআনিক/ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি সচ্ছল হন তবে আপনাকে অবশ্যই দান করতে হবে। আবার শুধু দান করলেই হবেনা, সঠিক ও যোগ্য স্থানে দান করতে হবে। নতুবা আল্লাহর নিকট দায়ী থাকবেন। তাই আপনাকে জানতে হবে কোথায় কোথায় দান করা যায়। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা সূরা তাওবার ৬০ নং আয়াতে যাকাতের ক্ষেত্র হিসেবে যে আট ক্ষেত্র প্রদর্শন করেছেন তাই সবচেয়ে সঠিক স্থান। যথা-

১। ফকির    

২। মিসকিন 

৩। যাকাত আদায়কারী 

৪। যাদের ইসলামের প্রতি চিত্তাকর্ষণ করা প্রয়োজন

৫। দাস মুক্তির জন্য   

৬। ঋণ গ্রস্তদের জন্য  

৭। আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য 

৮। মুসাফিরের জন্য

এখন সচেতন মনে লক্ষ্য করুন, আপনার এই ক্ষুদ্র দান এদের সামাজিক কোন পরিবর্তন আনতে পেরেছে কিনা? নাকি তাদেরকে দান গ্রহণ একটা ব্যবসা ধরিয়ে দিয়েছেন? যাদেরকে দান করছেন তারা এটা পাওয়ার জন্য সত্যিকারের যোগ্য কিনা? সব মিলিয়ে যা দেখতে পাওয়া যায় তা হলো- আপনি নিয়মিত দান, সদকা, যাকাত, ফিতরা, মানতের টাকা বিক্ষিপ্ত ভাবে কোথাওনা কোথাও দিচ্ছেন কিন্তু তা আমাদের সামাজিক কোন উন্নতি আনতে পারছেনা। বছরে ৪৫০০ কোটি টাকা দান করা হয় (সূত্র- সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর)। কিন্তু দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আশার কথা হলো- আপনাদের এই বিক্ষিপ্ত ক্ষুদ্র বা বৃহৎ দানকে পুঞ্জীভূত তথা ফান্ড আকারে গঠন করে তার সঠিক ব্যবহারের জন্য নিবেদিত মানব উন্নয়ন সংস্থা গঠিত হয়েছে। এই সংস্থার মাধ্যমেই আপনার ক্ষুদ্র দানটা সমাজের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন করবে বলে আমরা আশা করি।

আমাদের ভাবনা ও কার্যক্রম আপনার পছন্দনীয় হলে আর্থিক সাহায্য প্রদান, পরামর্শ সহ সার্বিক সাহায্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মেইল করুন অথবা কমেন্টস করতে পারেন।